হাজারো শিক্ষার্থীর অন্তরের অন্তস্থলে, তাদের হৃদয়ের গভীরে, তাদের প্রত্যেকটি শিরায় শিরায় একটিমাত্র
নাম :”আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ “
আমিনা বাকি শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় এটি একটি পরিবার যেখানে হাজারো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মিলেমিশে বাস করছে। যাদের নিত্যদিনের কলরবে মুখরিত এবি ক্যাম্পাস।
আমার জীবনের সুদীর্ঘ ১২ বছর আমি অতিবাহিত করেছি এই এবির প্রাঙ্গণে। এই ১২ বছরে আমেনা-বাকী আমাকে যা দিয়েছে তা ভোলার মত নয়।, শিক্ষকদের আকাশ সমতুল্য ভালোবাসা,স্নেহ,বন্ধুদের অফুরন্ত ভালোবাসা ও বিশ্বাস, একে অপরের প্রতি সহনশীলতা ও সহযোগিতার মনোভাব সহ অসংখ্য কিছু দিয়েছে। ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি আমি প্রথমেই স্কুলে যাই এবং সেদিন থেকে আমার মনে হাজার হাজার স্বপ্ন দানা বাঁধতে থাকে আমেনা-বাকী কে ঘিরে। আমার মত অনেক শিক্ষার্থীরো অনেক স্বপ্ন আমেনা-বাকী কে ঘিরে।আজ আমেনা বাকী যেখানে দাঁড়িয়ে আছে এমনি এমনি হয়নি। সুদীর্ঘ 22 বছরের অসংখ্য মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধার বিনিময় তিলে তিলে একটু একটু করে আমেনা-বাকী আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে কিছু বিভ্রান্তকর, উচ্ছৃংখল স্বভাব এর লোক এবির এই মধুময় ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে।
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি : সারা বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যেমন দিনাজপুরে আমেনা-বাকীর অবস্থান ঠিক তেমন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সচরাচর বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়েই থাকে, তাই আমেনা বাকীর এই সমস্যাকে বড় কিছু না ভেবে বাইরে মিথ্যাচার ও গুজব ছড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। মনে রাখতে হবে আমেনা বাকী রাতারাতি এই জায়গায় এসে দাঁড়ায়নি,তাই রাতারাতি আমেনা বাকীকে ধ্বংস করাও যাবে না। আমেনা বাকী হাজারো শিক্ষক, শিক্ষার্থীর প্রান, হাজারো শিক্ষার্থীর স্বস্থির স্থান, যেখানে তারা প্রান ভরে হাসতে পারে, প্রান ভরে নিশ্বাস নিতে পারে। তাই আমেনা বাকীর যেকোনো বিপদে আমরা রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত। কেননা আমাদের স্কুল আমাদের অহংকার।